রাতের বেলায় হঠাৎ করে দিপুর ঘুম ভেংগে যায়। চশমা চোখে দিয়ে অনুভব হল,তার বিছানা আর প্যান্ট ভেজা,কিন্তু লাইট জালিয়ে দেখল,তার বিছানা ভেজা রক্তের কারণে,তার প্যান্ট এর কোমর ভেজা রক্তের কারনে। বেচারা ভয় পেয়ে গেল, প্যান্ট পাল্টানোর পর,শুতে যাবে হঠাৎই সে নুপুরের আওয়াজ শুনতে পেল,কে যেন নুপুর পায়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। বেচারার শরীর দিয়ে দরদর করে ঘাম ঝরতে লাগল,তখনি সে কারও উপস্থিতি টের পায়,কেউ তার রুমের দিকে আসছে, রুমে এক প্রকার ঠান্ডা বাতাস বয়ে যেতে লাগল,পর্দা উড়তে লাগল,দরজা বন্ধ হতে লাগল,আর খুলতে লাগল,দিপু বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়ল,অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছে সে,বয়স হোক না ১২ বছর,এখনো তো শিশুই, ভয় তো সবারই লাগে। একটা পা দেখতে পেল,সেই পায়ে নুপুর পড়া,হঠাৎ সে গান শুনতে পেল, আমারও পরাণও যায়া চায়।এযে তার প্রিয় গান,এই গান শুনে সে আরও ভয় পেয়ে গেল,কেননা,রাতের বেলা,এই পাটা কার? ভাবল সে,হঠাৎ সে ডাক শুনতে পেল,দিপু,১ মিনিট সব চুপচাপ , তারপর আবার দিপু,তারপর আবার চুপ।নিশি দুইবার ডাকে,তার পর দুই মিনিট চুপচাপ, মনে করল এটা আমার বড় বোন,গলা তার মতই,বার আবার শুনল দিপু,চার মিনিট পর আবার,দিপু,তারপর,দিপু মনে হয় ঘুমুচ্ছে, শুধু শুধু ডাকিস নে,এবার সে নিশ্চিত,কিন্তু পাটা কার,বেড় হয়ে দেখল,যে একটা পেত্নি,ডাকিনী, যে বারবার ডাকে,নামেই তার ডাক,নাম তার ডাকিনী। তারে ধরে নিয়ে যেত তখন শোনা গেল আজানের ধ্ধনি,আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। ডাকিনী সাথে সাথে গায়েব,এখন ৪:৩০ বাজে,ফজরের আজান দিল,দিপুর পিপাসা পেয়েছে, তবে ভয়ে নিচে যেতে পারছে না তখনই আজান শেষ আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লা।দিপু গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল দরজার দিকে,একটু উঁকি মেরে দেখল,আশপাশ। কেউ নেই,গুটি গুটি পায়ে আবার বিছানায় এসে শয়ন করল,তারপর ঘুমিয়ে পড়ল,মাত্র ১০ মিনিটের জন্য,তারপর ঘুম ভাংগার পর সে আবার বারান্দা দিয়ে হেটে গেল,জানালার কাছে গেল,পর্দাটা একটু সরিয়ে উঁকি দিয়ে দেখল,একটি মেয়েও তার সাথে সাথে উঁকি দিল,তাকে দেখে সে যাচ্ছেতাই ভয় পেয়ে গেল। তার পা টনটন করতে লাগল,বেচারা কোনমতে হামাগুড়ি দিয়ে বিছানার কাছে পৌছাল। আর সেখানে সে অনেক কষ্টে বিছানায় উঠে বসল,একটু পরে পর,কিন্তু জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখল,সুর্য ডুবছে মাত্র ঘড়িতে সন্ধ্যা সাতটা। আর তার পর ঘুটঘুটে আঁধার।রাত ৯ টা,বেচারার গলা শুকিয়ে এল,মনে এল,দিনের আলো নিভে এল,সুর্য ডোবে ডোবে,আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাদের লোভে লোভে, রবি ঠাকুরের উক্তি,